Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
উৎসব পার্ক
স্থান

বাঘা, রাজশাহী।

কিভাবে যাওয়া যায়

উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার উত্তরে রিক্সা/ ভ্যান/ সিএনজি যোগে উৎসব পার্কে যাওয়া যায়।

বিস্তারিত

রাজশাহী জেলাধীন বাঘা উপজেলায় অবস্থিত উৎসব পার্ক । ব্যক্তিগত উদ্যোগে উৎসব পার্ক গড়ে উঠেছে । চার দিকে সবুজে ঘেরা বনানী। মেঠো পথ ছুঁয়ে আমবাগান আর পুকুর পাড়ে ঘেঁষে হালকা রোদের আলতো ছায়ায় চলছে কু ঝিক ঝিক রেলগাড়ি। আকাশের ঠিকানায় থেমে থেমে গাল ফুলানো ধোঁয়া ছেড়ে রঙ বেরঙের বগি নিয়ে ইঞ্জিন ছুটছে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। হ্যাঁ, ক্ষণিকের জন্য হলেও এমন ভ্রমণের কথা মনের ভেলায় ভাসলে শিহরণ জাগবেই। আর এমন আনন্দেই পুলকিত হচ্ছে রাজশাহীর প্রত্যন্ত বাঘা উপজেলার মানুষ। গ্রামীণ পরিবেশে শহুরে অনুভূতির পরশ বুলিয়ে দিতে  উদ্বোধন করা হয়েছে বিনোদনের নতুন ঠিকানা' উৎসবপার্ক'। পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি উপজেলার বাজুবাঘা নতুন পাড়া গ্রামে চালু হওয়া পার্কের উদ্বোধন করেছেন। প্রত্যন্ত উপজেলার গ্রামীণ মানুষদের বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে এপার্ক। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মনে আনন্দের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে পার্কটিকে ঘিরে। তাই এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় লেগেই থাকছে। বিশেষ করে শিশুদের কথা লতেই হয়। যেন নতুন কোনো উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে তারা। বাইরে থেকেও দেখতে আসছে অনেকে। ট্রেন ছাড়া ও পার্কটিতে ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে দোলনা ও ঘূর্ণিসহ বিভিন্ন রাইডস। রয়েছে বনের রাজা সিংহ,রয়েল বেঙ্গল টাইগার,  হাতি ও ভল্লুকের ভাস্কর্য। এগুলোর ওপরে উঠে বা নেড়েচেড়ে ভিন্ন মাত্রার আনন্দ উপভোগ করছে শিশুরা। এ অঞ্চলের  মানুষের বিনোদন ও কর্মসংস্থান বাড়াতে ৮০ বিঘা জমির ওপর বেসরকারি উদ্যোগে পার্কটি নির্মাণ করেছেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আজিজুল আলম। পৃথিবী জুড়ে বিনোদনের মুখ্য কেন্দ্র হিসেবে পার্কের কোনো বিকল্প নেই। তাই  এ পার্কটি পর্যটন কেন্দ্রের বিকাশ ঘটানোসহ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে একদিন বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। পার্কটি সকাল ৯ টাথেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে ২০টাকা । রাইডস উপভোগ করার জন্য একই মূল্যের টিকিট রয়েছে। এছাড়া পার্কের মধ্যে উন্নত বিভিন্ন কোম্পানির আইসক্রিম, ফুচকা, চটপটি, ঝাল-মুড়িসহ রয়েছে মুখরোচক নানা খাবারের সমাহার। বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে নিজস্ব জেনারেটর এবং নিরাপত্তার জন্য আনসার ও নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে। উৎসব পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল  আলম বলেন, পদ্মার চরে ও বাঘার দীঘির পাড়ে কিছু শিক্ষার্থীকে পিকনিক করতে দেখে তার মনে পার্ক ও রিসোর্ট সেন্টার স্থাপনের চিন্তা আসে। পরে রিসোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করেন এবং সবদিক বিবেচনা করে উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার উত্তরে নিজ উপজেলার বাজু বাঘায় ৮০ বিঘা জমিতে পার্কটি নির্মাণ করেন।