ঐতিহাসিক কিংবদমত্মী অনুসারে জানা যায় মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর এর পুত্র যুবরাজ শাহজাহান ঢাকার বিদ্রোহীদের পরাজিত করার উদ্দেশ্যে নৌযানে ঢাকার উদ্দেশ্যে পদ্মা নদীপথে সসৈন্যে গমন করেছিলেন। বাঘার পাশ দিয়ে পদ্মা নদী দিয়ে যাবার সময় তিনি পেটের পীড়া অনুভব করলে সে সময় তিনি শুনেছিলেন এইখানে হযরত মাওলানা শাহদৌলা নামে এক ওলী অবস্থান করছিলেন’’। যুবরাজ এই ওলীর সান্যিধ্যে তার আরোগ্য লাভের জন্য প্রার্থনা করতে বলেন। এই ওলীর অলৌকিত্বে যুবরাজ আরোগ্য লাভ করেন । এরফলে যুবরাজ তাকে ৪২টি পরগনা দান করেন। তিনি এটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন কিন্তু পরবর্তীতে তার অন্যান্য বংশধরগণ তা গ্রহণ করেন। শাহী মসজিদের আশে পাশে ওলী শাহদৌলা (রঃ) এর মাজারসহ তাঁর বংশের অন্যান্য ওলী এবং বাগদাদ থেকে আগত শিক্ষকের মাজার রয়েছে। প্রতি শুক্রবারে পূন্যার্থী জনগণ তাদের বাসনা পূরণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী নিয়ে মাজার প্রাঙ্গণে সমবেত হয়। রাজশাহী বিভাগের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত এখানে অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবঙ্গসহ পার্শ্ববতী অনেক জেলা থেকে অনেক লোক এখানে ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করে। প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের পরের দিন এই মাজারে ঔরশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সাথে ধর্মীয় মেলাও অনুষ্ঠিত হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS